রাজধানীর রামপুরা ওয়াদা রোডে অতি পুরনো ১ তলা ভবনের ওপর ৬ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে হারুন ও সোহেলের বিরুদ্ধে। রাজউকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো ভবন নির্মাণ করেছেন এই ব্যক্তিরা। দেড় কাঠা জমির ওপর নির্মিত ভবনটি অতিপুরনো হলেও অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় চলছে নির্মাণ কাজ। স্থানীয়রা বিষয়টি রাজউকের নজরে আনলে রাজউক নোটিশ প্রদান করে সাময়িক কাজ বন্ধ করে রাজউকে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়। রাজউকের নির্বাহী আদেশে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখার জন্য হাতিরঝিল থানাকে অবহিত করেন। হাতিরঝিল থানা নোটিশ জারি করে কাজ বন্ধ রাখেন। ৪০ বছর আগে নির্মিত ভবনটিতে পার্কিংপয়েন্ট জুড়ে রয়েছে বিপণি বিতানসহ হরেক রকম দোকান। রাজউকের নিয়মানুযায়ী ৪০ ভাগ জমি ছেড়ে ভবন নির্মাণের নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। রাজধানী জুড়ে দুর্ঘটনাসহ শৃঙ্খলা ফেরাতে রাজউক পুরনো ভবনের নকশা, স্ট্রাকচারাল ডিজাইন, ইলেকট্রিকাল ডিজাইনসহ সকল কাগজ পত্র রাজউকে জমা দেওয়ার বিধান চালু করলেও তা জমা দেননি উক্ত অসাধু ভবন মালিকগণ। উল্টো পুরনো ভবনের ওপর নকশা ছাড়া রাজউকের যোগসাজশে বহুতল ভবন নির্মাণের মহোৎসবে মেতে উঠেছেন অসাধু মালিকরা। রাজধানী রামপুরা ওয়াপদা রোডে পুরনো ৩ তলা বাড়ির ওপরে সাড়ে ৫ তলা ভবন নির্মাণের চলমান রেখেছেন হারুন সোহেলরা। ওই ভবনের পাকিং পযেন্ট জুড়ে রযেছে বিভিন্ন বিপণি-বিতানসহ নানা রকম খাবার দোকান। ভবনের চারিদিকে ৪০ ভাগ জামি ছাড়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। পাশের ভবনের দেয়াল ঘেষা থাকলেও রযেছে মারাত্মক ঝুঁকি। একটি সাড়ে ৫ তলা ভবন হেলে পড়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে ভবনের বাসিন্দারা। কিছু ভাড়াটিয়া অন্যত্র স্থানান্তর করলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে অনেকে সেখানেই থাকছেন। অন্যরাও শিগগির ভবন ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন ভবনটির দায়িত্বপ্রাপ্ত দোকানিরা। রাজধানী উন্নযন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অ্যাকশন নোটিশ দিলেও তাদের নেই কোন সদিচ্ছা। এ কাজে সহযোগিতা করেছেন রাজউকের জোন- ৬/১ এর সাবেক অথরাইজড অফিসার জোটন দেবনাথ এবং ইমারত পরিদর্শক ইমরান শেখ। তারা উভয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভবন নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন। জানা গেছে, রামপুরা ওয়াপদা রোড ২৫৫ নম্বর নিজস্ব ভবনে হারুন সোহেল নামে ২ ভাই বসবাস করছেন। ৩ তলায় নিজেদের বসবাস থাকলেও নিচতলা ও ২ ফ্লোরে রয়েছে বিউটি পার্লার, কমার্শিয়াল অফিস এবং নিচতলায় পার্কিং পয়েন্ট জুড়ে রয়েছে হরেক রকমের বিপণি বিতান। নির্মাণ আইনে ৪০ ভাগ জমি ছেড়ে ভবন নির্মাণের নিয়ম থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। পাশের ভবনের দেয়াল ঘেষে নির্মাণ করা হয়েছে। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। সাড়ে ৫ তলা ভবন হেলে পড়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে ভবনের বাসিন্দারা। কিছু ভাড়াটিয়া অন্যত্র স্থানান্তর করলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে অনেকে সেখানেই বসবাস করছেন। অন্যরাও শিগগির ভবন ছেড়ে দিবেন বলে জানিয়েছেন ভবনটির বসবাসরত দোকানিরা। রাজধানী উন্নযন কর্তৃপক্ষ রাজউক অ্যাকশন নোটিশ দিলেও তাদের নেই কোনো নজরদারি।এ ঘটনায় প্রতিবেশীদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয় ভবন মালিক হারুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , আমার বাবা ৩০ বছর আগে ৬ তলার প্লান পাশ করেছেন। কিন্তু নির্মাণ কাজ করেননি। এখন আমরা ৬ তলা করবো। রাজউক আপনাদের নোটিশ জারি করে কাজ বন্ধ করল কেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি বলতে পারবো না। ছোট ভাই সোহেল রাজউকের সাথে চুক্তি করেছে সে বলতে পারবে। নকশা ছাড়া এবং কত টাকার বিনিময়ে রাজউকের সঙ্গে সমাধান করবেন এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারেননি হারুন।তিনি আরও বলেন, রাজউক কিভাবে অনুমতি দিয়েছে রাজউকে গেলে জানতে পারবেন।এ বিষয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক জোন ৬/১ দায়িত্বে থাকা অথরাইজড অফিসার জোটন দেবনাথের কাছে জানতে চাইলে তিনি ফোন কল গ্রহণ করছেন না। তার মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো জবাব দেননি। ইমারত নির্মাণ পরিদর্শক ইমরান হোসেন বলেন, আমরা অ্যাকশন নোটিশ দিয়েছি। পরবর্তীতে চুড়ান্ত নোটিশ দিযে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আপনারা আমাদের সহেযোগিতা করবেন।