সুমন খান:
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি মিরপুর মোটরসাইকেল মালিকানা বদলি শাখা , ৩১২ নম্বর রুমে গ্রাহকদের হয়রানি শেষ নেই ? এই সেকশনে গ্রাহকরা, সরাসরি তাদের গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে পদে পদে পড়েছে বিপদে! অথচ তারা কোন কর্ণপাত করছেই না। মোটরসাইকেল মালিকানা বদলি করতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন এর নামে হাজার হাজার টাকা আদায় করার নামে নাটক সাজিয়ে হয়রানি, অভিযোগ পাওয়া গেছে। অফিস সহকারী জিয়ার নামে আসলে কে এই জিয়া তার আসল উদ্দেশ্য কি? ৩১২ নাম্বার রুমে অফিস সহকারী মোঃ জিয়ার তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে কাগজপত্র ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা লুটে নিচ্ছে । তার বাহিনী সদস্য হল আজাদ কম্পিউটার অপারেট মোঃ রাসেল, মোঃ মেহেদী মোঃ আরিফ মোঃ মাসুদ সহ আরো কয়েক ডজন দালাল । এরা সকলের সহকারি টেবিল ব্যবহার করে দালালি কাজ করছে, অথচ তারা অফিসে কোন নিয়োগ প্রাপ্ত নয়। গ্রাহকদের জানান তারা সরকারি কর্মকর্তা এই সুযোগে দালাল চক্রটি গ্রাহকদের ফাইল নিয়ে দেখে এবং তাদেরকে বলে আপনার ফাইলে এই সমস্যা ওই সমস্যা জর্জরিত আমাদেরকে টাকা দিলেই আমরা সবকিছু ঠিক করে দিতে পারব উপরের বড় কর্মকর্তারা আমাদেরকে চিনেন বললেই সমাধান হয়ে যাবে। গেরকদের অভিযোগ জানা গেছে বিক্রয়িতা ও ক্রেতার অফিসে হাজির থাকা সত্ত্বেও টাকা না দিলে কোন ফাইলে স্লীপ ও সই করে দেয় না। বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখিয়ে ফেলে রাখেন তারা। তাই গ্রাহকরা বাধ্য হয়ে দালাল দরবেশ কাছে হাজির হয়ে তাদের কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন। সদস্যের কাছ থেকে ফাইলে তিন হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। অনেকেই ভুক্তভোগী বলেন আমাদেরকে গলাকাটা পাওয়া হবে না শুধু আমাদের গলা কেটে তারা অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছি এর প্রতিকার কোন আছে জানতে চাই উপরের কর্মকর্তার কাছে । এমন একটি সরজমিনে গিয়ে দেখা যাচ্ছে অফিস টাইম শেষ হওয়ার পর থেকে , চলে তাদের আনাগোনা ও দালালদের লেনদেন লোকজন বের করে গেটের সামনে এক। এই অবস্থা দেখে সংবাদকর্মী তাকে বলেন আমার একটি কাজ করে দেওয়া যাবে সে বলছে দুই থেকে তিন হাজার টাকা দিলেই আমরা কাজটি করতে পারব । অথচ আপনার অফিসটা শেষ হয়ে গেলে এখনো এই অফিসে বসে কি করেন আপনারা , একপর্যা য়ে এসব প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারায় দরজা বন্ধ করে দেন । আরও গ্রাহক বলেন আমরা এসেছি কাদের জন্য সে বলে অনেক ঝামেলা আছে এখন করা যাবে না দেখতে পারছেন না সাংবাদিকরা এসেছে ঝামেলা হতে পারে আপনারা কালকে আসেন । আজাদ ও রাসেল অফিসে সেজে ভিডিও কলে বিক্রেতা এবং হাজিরা নেওয়া হয় এমন একটি তথ্য পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় একটি সেকশন থেকে সাত থেকে আট নয় জন লোক গেটিসের মাধ্যমে অফিস সহকারী দিয়া প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক ভুক্তভোগী মিলন বলেন ভোগান্তির শেষ নেই এ যেন দুর্নীতির লীলাখেলা কথায় আছে না জোর যার মুল্লুক তার এমন একটি চিত্র আমরা এই বিআরটিএ” তে এসে দেখতে পেলাম। জনগণের স্বার্থে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বিষয়টি দেখার জন্য আসলে এমন যদি হয় কর্মকর্তাদের আসলে আমরা কোথায় যাব এর প্রতিকার কি নাই কে সেই জিয়া তার দালালদের দিয়ে আমাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এই সরকারি কর্মকর্তা নিয়মের ধার ধারেন না। তার রুমে ঢুকতেই প্রথম কথা বলতে হয় তারই পরিচয়ের এক দালাল প্রতারকের সঙ্গে। তার অফিসের রুমে সারাক্ষণ দালালদের আনাগোনা রয়েছে। এই সব দালালরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে কাগজপত্র ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জিয়াতার বাহিনী সদস্যরা।