সুমন খান:
রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভুয়া আইডি কার্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে! সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ১৫ লক্ষ টাকার চুক্তিতে অবৈধভাবে ফ্ল্যাট দখল, করে দেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় ১৩ জন পেশাদার প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির পল্লবী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. সামসুল ইসলাম শাওন (৩২), মো. সাইমন ইসলাম ওরফে ইমন (২৩), মো. সাইফুল ইসলাম (২০), মো. নূর মোহাম্মদ শামীম (২০), শেখ মহি উদ্দিন (৬৪), মো. আরিফুজ্জামান (২৭), ৭। মো. জিহাদ (৩২), মো. সোহান আকন্দ (২২),মো. আসিফ হোসেন তারেক (২০), মো. মিন্টু মুন্সি (২৮), মো. রিফাতুল ইসলাম (২১) ও অপর দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে দুটি ওয়াকিটকি, বিমান বাহিনীর লোগো সম্বলিত একটি ক্যাপ, সেনাবাহিনীর চারটি ভুয়া আইডি কার্ড ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রি.) রাত ১২:৪৫ ঘটিকা ও ১:৩০ মিনিটে সময় পল্লবী থানা এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম, যেদিন থেকে এখানে যোগদান করছেন। সেদিন পর এক অপকর্ম এবং গডফাদার সহ সকল ধরনের নির্মূল করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
পল্লবী থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১০:০৫ ঘটিকায় গ্রেফতারকৃতরা তাদের কয়েকজন সহযোগীসহ জনৈক নুরুন্নাহার লাকীর পক্ষ হয়ে পল্লবী থানার সেকশন-১১, ব্লক-এ, রোড-৭ এর ৪৪ নম্বর বাড়ির ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাট দখল করতে গেলে স্থানীয় জনগণের বাধার সম্মুখীন হয়। এরপর রাত ১০:৫০ ঘটিকায় মো. সামসুল ইসলাম শাওন, মো. সাইমন ইসলাম ওরফে ইমন, মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. নূর মোহাম্মদ শামীম পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলামের , রুমে গিয়ে নিজেদের সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে উক্ত ফ্ল্যাটটি দখলে পুলিশি সহায়তা চায়। তাদের কথা-বার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদের দেহ তল্লাশি করা হয়। দেহ তল্লাশিকালে তাদের কাছ থেকে দুটি ওয়াকিটকি, বিমান বাহিনীর লোগো সম্বলিত একটি ক্যাপ, সেনাবাহিনীর চারটি ভুয়া আইডি কার্ড পাওয়া যায়। অতঃপর বিভিন্নভাবে তাদের পরিচয় যাচাই করে ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১:৩০ ঘটিকায় পল্লবী থানার সাগুফতা রোড ও কিংস্টন গলিতে অভিযান পরিচালনা করে ফ্ল্যাট দখলের কাজে তাদের সহযোগী শেখ মহি উদ্দিন, মো. আরিফুজ্জামান, মো. জিহাদ, মো. সোহান আকন্দ, মো. আসিফ হোসেন তারেক, মো. মিন্টু মুন্সি, মো. রিফাতুল ইসলামসহ অপর দুই অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আরও ৭/৮ জন পালিয়ে যায়।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার প্রতারক। তারা তাদের পলাতক সহযোগীদের সহায়তায় নিজেদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার চুক্তিতে পল্লবী থানার সেকশন-১১, ব্লক-এ, রোড-৭ এর ৪৪ নম্বর বাড়ির ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাট দখল করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল মর্মে প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত পলাতক অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।