আব্দুল্লাহ আল মামুন যশোর
মণিরামপুরে এতিম বাপ্পীর মৃত্যুর ৪০ দিন পূর্ণ হলেও বিচার হয়নি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের। বাপ্পীর আত্মার শান্তি কামনায় নিজ বাড়িতে ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দোয়া মাহফিলে এলাকাবাসী এতিম বাপ্পির রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং বাপ্পী হত্যার বিচার দাবি করেন।
যশোরের মনিরামপুরে ৭ আগষ্ট বুধবার এক এতিম ছেলেকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, ওই এতিম ছেলের নাম মো: বাপ্পী। বাপ্পী মনিরামপুর পৌরসভার দূর্গাপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। বাপ্পীর পিতার আমির হোসেন । বাপ্পীর বয়স ২৩ বছর।৫বছর আগে বাপ্পীর পিতা মারা যায়। পিতার মৃত্যুর শোকে ২ বছর পর তার মা মারা যায় এতিম হয়ে যায় বাপ্পী।মা বাবা হারা এতিম ছেলেটিকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে । স্থানীয় দের থেকে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ৬ আগষ্ট বাপ্পি দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য বাজারে গিয়েছিলেন। সে সময় দুর্বৃত্তরা তাকে মেরে মনিরামপুর হসপিটাল সামনে ফেলে রেখে যায়। হসপিটাল কর্তৃপক্ষ অবস্থা খারাপ দেখে যশোর ২৫০ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।পরবর্তীতে ৭ তারিখে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে যশোর সদর হাসপাতালের মেঝেতে বাপ্পীকে পান। অবস্থা খারাপ দেখে খুলনা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে মারা য়ায় বাপ্পী।স্থানীয় বাসিন্দা আসাদ আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্না করতে করতে বলেন, ছেলেটি আর কোন দিন বলবে না ভাই আমি দুপুরে খাইনি,ভাই ২০ টাকা দেন ভাত খাব। ফুফাতো ভাই ইয়াসিন আরাফাত বলেন,যারা স্বাধীনতা চেয়েছিলো তারা আমার ভাইকে কি ফিরিয়ে দিতে পারবে? এই কি তাদের স্বাধীনতা! মামা জাকির হোসেন বাবু বলেন,দুর্বৃত্তদের অত্যাচারে আমার ভাগ্নে বাপ্পির মৃত্যু হয়েছে। এই কি স্বাধীনতা,এই স্বাধীনতার জন্য কি ছাত্ররা রাজপথে ছিলো?যে দুর্বৃত্তরা আমার ভাগ্নে বাপ্পীকে মেরে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে,তারাই আমার ঘরবাড়ি এবং জায়গা জমি দখল, লুটপাট করার চেষ্টা করতেছে।