ঢাকাThursday , 26 December 2024
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. ত্বথ্য প্রযুক্তি
  10. দুর্ঘটনা
  11. ধর্ম
  12. ফিচার
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মতামত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বোয়ালমারীতে সরকারি মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন খানাখন্দ ভরাট কাজে ও ইটভাটায়

admin
December 26, 2024 9:02 pm
Link Copied!

মোঃ আনোয়ার হোসেন,
বোয়ালমারী (ফরিদপুর)
প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারি মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন খানাখন্দ ভরাট কাজে ও ইটভাটায়। প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়াই সরকারি মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। সাতৈর ইউনিয়নের কুন্ডুরামদিয়া গ্রামের কামরুল নামের এক অসাধু মাটি ব্যবসায়ী মাটি কাটা ও পরিবহনের কাজ করছেন।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১টার দিকে ঘটনাস্থল সাতৈর ইউনিয়নের পুন্ডুরামদিয়া খাড়াপাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাদিরদী কলেজ হতে ভাটদী সড়কে কমপক্ষে ১০/১২ টি ট্রলি ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। মাস খানেক আগে থেকে কাটা শুরু হয়েছে এই কুমার নদের স্তুপ কৃত মাটি।  ট্রাক প্রতি সাড়ে আটশ থেকে এক হাজার করে নেওয়া হচ্ছে। কুমার নদের স্তুপ করা মাটি কামরুল চুক্তি করেছে একই গ্রামের মৃত শাহাজদ্দী শেখের ছেলে ফজলু শেখ ও মোফাজ্জল শেখের ৩০ শতাংশ এবং জোনাব আলী শেখের ছেলে ইলিয়াস শেখের ২৬ শতাংশ জমির মাটি।
ফজলু জানান, আমাদের জায়গার মাটি সমান করে দিবে এটাই কামরুলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। কামরুল নাকি ভূমি অফিস, ইউএনও অফিস ম্যানেজ করে কাজ করছেন। এটা চেয়ারম্যানও জানে। অনেক সাংবাদিক আসে তারা দেখে চলে যায়। আপনারাও দেখে যান।
এ ব্যাপারে মাটি ব্যবসায়ী কামরুলকে কল দিলে সে বলে, আমি কাটাচ্ছি সরকারকে মাটি সরায় নিতে বলেন এবং  যাদের মাটি তাদের বাপ দাদাদের চৌদ্দ গুষ্টির ভেকু নেই আমার ভেকু আছে আমি মাটি কাটছি। আপনার যা করার থাকে তা করেন।
সাতৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রাফিউল আলম মিন্টুকে কল দিলে তিনি বলেন, আমি একটু ব্যস্ত আছি পরে ফোন দেই!!
অপর দিকে একই ইউনিয়নের মহিশালা গ্রামের শাজাহানের ছেলে আমিরুল দীর্ঘদিন ধরে দাদপুর ইউনিয়নের কোনদারদিয়া থেকে ফসলি জমি কেটে বিভিন্ন জলাশয়, পুকুর ও ইটভাটায় দিচ্ছে। প্রায় চার কিলোমিটার দূরত্বে  চারভাগ গ্রামের ইউনুস শেখের পুকুর প্রতি ট্রলি ১ হাজার করে নিচ্ছেন। তাতে ইউনুসের প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মত লাগবে।
দাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো.মোশাররফ হোসেন বলেন, এই অবৈধ ট্রলির কারণে গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হওয়া সহ কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। এ ব্যাপারে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।
জানতে চাইলে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রাব্বানী সোহেল বলেন, কুমার নদীর সরকারি যে মাটি স্তূপ করা রয়েছে সেটা টেন্ডার দেওয়ার দায়িত্ব ইউএনও স্যারের।
বোয়ালমারী উপজেলা ইউএনও ও  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরীকে বেলা ১২ টা ৫ মিনিটে কল করলে তিনি বলেন, আমি একটু ব্যস্ত আছি ।

Design & Developed by BD IT HOST