মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা প্রতিনিধিঃ-
গত তিন ধরে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে খুলনায় অবিরাম বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে।টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন সড়কে হাঁটুপানি জমেছে। এতে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে অফিসগামী মানুষ আর শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। বিভিন্ন সড়কে চলাচলের সময় আটকা পড়ছে যানবাহন। বৈরী আবহাওয়ার কারণেই স্থবিরতা বিরাজ করছে জনজীবনে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই। টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা। ৩ দিনের টানা বৃষ্টিতে খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পানিতে থৈ থৈ করছে। একই অবস্থা খুলনা সরকারি টিসার্চ ট্রেনিং কলেজ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক ইনস্টিটিউটে প্রবেশের রাস্তা এবং খেলার মাঠের। গভঃ ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের খেলার মাঠে হাঁটু সমান পানি জমে আছে। এছাড়া মুজমুন্নী, বাস্তুহারা, ৩১ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় অনেকে মাছ ধরছেন। খুলনা আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। রোববার বিকেল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এলাকার মধ্যে সড়ক আছে প্রায় এক হাজার ২১৫টি, যার অধিকাংশই বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।কেসিসি জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় গত ছয় বছরে ১০৪টি ড্রেন পুনর্নির্মাণ করেছে। ময়ূর নদসহ সাতটি খাল পুনরায় খনন ও ৩২টি ড্রেনের সংস্কার চলছে। এতে ব্যয় প্রায় ৫০২ কোটি টাকা। এ বিপুল অর্থ ব্যয়ের পরও নগরের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।